বিবরণ
-
মসজিদের ধরণসুন্নী
-
মসজিদের স্থাপিত সময়কাল১৪৭৬
-
দৈর্ঘ ☓প্রস্থ(আনুমানিক) ৬২৬,৫৬ ফুট
-
প্রত্নতত্ব বিষয় / ধরনঐতিহাসিক, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, মুঘল স্থাপনা
-
মসজিদের প্রতিষ্ঠাতামূছা ইবনে হাজী আমীর ও মজলিস আলম
-
গম্বুজ সংখ্যা৪ টি
মসজিদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
গয়ঘর ঐতিহাসিক খোজার মসজিদ | Gayghar Khoza Mosque
গয়ঘর মসজিদ, এছাড়া গয়ঘর ঐতিহাসিক খোজার মসজিদ নামেও পরিচিত, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের গয়ঘর গ্রামে অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। বাংলার সুলতান শামসুদ্দীন ইউসুফ শাহের শাসনামলে ১৪৭৬ সালে একটি ছোট পাহাড়ের উপরে এটি নির্মাণ করা হয় এবং পরবর্তীতে আফগান নেতা ও মুগলদের প্রতিপক্ষ খাজা উসমানের নামে নামকরণ করা হয়। mosquesofbangladesh.xyz
ইতিহাস
স্থানীয় গ্রামবাসীদের মতে, যখন মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল, তখন এলাকাটি ঘন বনভূমিতে আবদ্ধ ছিল এবং বাঘের আনাগোনা ছিল। আজ পর্যন্ত, মসজিদের ভিতর পূর্ব স্তম্ভে বাঘের পায়ের তিনটি চিহ্ন বিদ্যমান। শামসুদ্দীন ইউসুফ শাহের শাসনামলে মুসা ইবনে হাজী আমীর ও স্থানীয় মন্ত্রী (সম্ভবত ফৌজদার) মজলিস আলম ১৪৭৬ সালে মসজিদটি নির্মাণ করেন।১৫৯৩ সালে মুঘল বাংলার সুবাহদার, মানসিংহের বিরুদ্ধে আফগান বিদ্রোহের পরে খাজা উসমান নামে একটি আফগান গাজি এই মসজিদে আশ্রয় নেয়। bangladesher masjid
১৯৩০ দশকের শেষের দিকে আজম শাহ নামের একজন পণ্ডিত মসজিদের কাছে বাস করেছিলেন। ১৯৪০ সালে মূল গম্বুজটি পৃথক হয়ে পড়ে এবং আজম শাহ নতুন গম্বুজ নির্মাণের জন্য অর্থোপার্জন করেন, এবং তিনি বানিয়াচং এর ইসমাইল মিস্ত্রির সাথে সফলভাবে নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেন।
১৯৬০ সালে মসজিদটি আবার নতুন করে সংস্কার করা হয়। আজম শাহের প্রস্থান করার পর, এটি আবার ভেঙ্গে পড়ে এবং গাছ-লতাপাতায় ছেয়ে যায়।
স্থাপত্য
মসজিদের গম্বুজটি সাদা টাইলের এবং ১৮ ফুট লম্বা। ৩টি বড় দরজা পাশাপাশি ৬টি ছোট দরজা আছে। ভবনের অভ্যন্তরের পূর্ব স্তম্ভে বাঘের পায়ের চিহ্ন রয়েছে। ছাদের কাছাকাছি, একটি ফুলের নকশাসহ একটি আরবি শিলালিপি আছে।