বিবরণ
-
মসজিদের ধরণসুন্নী
-
মসজিদের স্থাপিত সময়কাল১৯২৫
-
প্রত্নতত্ব বিষয় / ধরনঐতিহাসিক, মুঘল স্থাপনা
মসজিদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
নির্মাণ ও নামকরণ
১৯২৫ ইংরেজি, ১৩৩১ বাংলা সনে মেহার গ্রামের বিশিষ্ট দানবীর ও ধর্মানুরাগী ব্যক্তি জনাব আলহাজ্ব নজর মামুদ মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদের গায়ের শিলালিপি অনুযায়ী। মসজিদটির নাম দেন মেহার নজর মামুদ হাজী বাড়ি জামে মসজিদ।
ইতিহাস
এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ লোকজন ও হাজী সাহেবের নাতিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ব্রিটিশ আমলে ত্রীপুরার রাজা বীর বিক্রম মাণিক্যর শাসনকালে চান্দিনার মহিচাইল গ্রামের জমিদার বাবু ভৈরব চন্দ্র সিংহের জমিদারিত্ব কালে জমিদারের অনুমতিক্রমে এলাকার মুসলমাদের নামাজ পড়ার সুবিধার্থে হাজী সাহেব ১০শতক জায়গার ওপর মসজিদটি নির্মাণ করেন।তখন জমিদার হাতী চড়ে এসে মসজিদের নির্মাণ কাজের শুভ উদ্ভোধন করেন।
বিবরণ
মসজিদটি আয়তন ৪০ফুট দৈর্ঘ্য ২০ ফুট প্রস্থ। ৩৫ফুট উঁচু। উচ্চতার চাঁদের ওপর নির্মিত হয়েছে ভিতরের অংশ খোলা তিনটি বড় আকারের গুম্বজ। মুসুল্লিদের মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করার জন্য পূর্বদিকে তিনটি দরজা।আর দক্ষিণ ও উত্তর দিকে রয়েছে দুটি জানালা। মসজিদের মুসল্লিদের ওযু ও গোসলের জন্য দক্ষিণ পাশে ১২০ শতক জায়গার খনন করা হয়েছে একটি পুকুর। যাতে রয়েছে পাকা শানবাঁধানো ঘাট।রমজান মাসের কদরের রাত্রিতে মুসল্লিের খাওয়ানোর জন্য এবং মসজিদের ইমাম ও ময়াজিনের খরচ ভার বহন করার জন্য মসজিদের নামে হাজী সাহেব ২৬৪ শতাংশ জায়গা মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দিয়ে যান। ঐ সময়ে হাজী সাহেবে পায়ে হেটে মক্কা শরীফ গিয়ে হজ্ব করেন। মসজিদটি চুন ও শুরকি দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি দেয়ালের পুরুত্ব ৩-৪ ফুট। যার কারণে শীতকালে গরম আর গরমকালে ভীতরে ঠাণ্ডা অনুভব হয়।মসজিদের সামনে রয়েছ ধর্মীয় আলোচনার জন্য খোলা জায়গা। বর্তমানে মসজিদটি তে মুসল্লিদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় সামনের খোলা জায়গাটি হাজী সাহেবের নাতিরা মসজিদের সাথে সংযুক্ত করে সম্প্রসারণ করেন।